চন্দ্রনাথ পাহাড়

Posted By :

চন্দ্রনাথ পাহাড়

চন্দ্রনাথ পাহাড় অপরুপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যয়ের লীলাভূমি।সারাবছর থাকে পাহাড়ের কান্না। বিশেষ করে বর্ষাকালে পাহাড়ের গাল বেয়ে সমতলে নেমে আসে সেই অশ্রুজল। জলের এ ধারা প্রকৃতির সব শোভাকে হার মানায়।হাত বাড়ালে যেন আকাশ ও সাগর ছোয়া যায়। পশ্চিমে দৃষ্টি দিলে দেখা যাবে সমুদ্রের পানির হৃদয় ছোঁয়া ঝিকমিক । চন্রদনাথ পাহাড়ের কি শুধু প্রাকৃতিক শোভা? এ অঙ্গে জড়িয়ে আছে পোরাণীক স্মৃতিবিজড়িত অসংখ্য মাঠ-মন্দির ও সুলতানি আমলের একটি মসজিদও।চট্রগ্রাম শহর থেকে ৩৭ কিঃ মিঃ উত্তরে ঢাকা চাট্রগ্রাম মহাসড়ক থেকে সাড়ে তিন কিঃমিঃ পূর্বে চন্দ্রনাথ পাহাড় অবস্থিত।সর্বোচ্চ চূড়ার উচ্চতা ৩৬৫ মিটার। উচ্চতার দিক থেকে কোন বড় পাহাড় না হলেও এই অঞ্চলের বিবেচনায় এটিকে বেশ উচু পাহাড়ই বলা যায়। এই পাহাড়টিকে অনেকে আখ্যায়িত করেন বাংলাদেশের হিমালয় নামে। চন্দ্রনাথের এ পাহাড় ভারতীয় উপমহাদেশে হিন্দুদের তীর্থস্থান নামে পরিচিত। প্রতিবছর বাংলা ফাল্গুন মাসে বড় একটি মেলা হয় যা শিবচতুদর্শী মেলা নামে পরিচিত। এ সময়ে দেশে বিদেশের অনেক সাধু সন্ন্যাসী এবং নর নারী বিশেষ করে ভারত, নেপাল, শ্রীলঙ্কা থেকে এখানে আসেন। এ সময় এই এলাকা জনাকীর্ণ হয়ে ওঠে। বর্ষাকালে আরেক পাহাড়ি ঝর্নার অপরুপ দৃশ্য মিস করতে না চাইলে যেতে পারেন সীতাকুণ্ড ইকো পার্কে। চট্রগ্রামের সীতাকুণ্ড চন্দ্রনাথ রিজার্ভ ফরেস্ট ইকোপার্কের ভিতর সুপ্তধারা নামে একটি ঝর্না অবস্থিত। পার্কের একটু ভিতরে গেলেই এই বিশাল ঝর্নার দেখা মিলবে। সবুজ ঘোড়া চারপাশের এঈ ঝর্নার রূপ সত্যিই অসাধ নিরাপত্তা নিয়ে নিশ্চিত থাকতে পারেন।কিভাবে যাবেনঃ ঢাকা থেকে বাসে/ট্রেনে চট্রগ্রাম।তারপর সিএনজি/ইজি বাইক/বাস করে সীতাকুণ্ড বাজারে আসতে পারবেন।চট্রগ্রাম থেকে মাত্র ৩৭ কিঃমিঃ ও সীতাকুণ্ড বাজার থেকে ১ কিঃমিঃ দূরে অবস্থিত। বাসে গেলে সীতাকুণ্ড বাজার নেমে যেতে পারেন।

বাজার থেকে অটো অথবা সিএনজি অথবা অটো রিক্সা নিয়ে পাহাড়ে ও ইকোপার্কে যেতে পারেন।

ঝর্না দেখতে হলে পার্কের ভিতরে ম্যাপ / নির্দেশিকা দেয়া আছে।সেটা অনুসরণ করে গেলে ঝর্না পর্যন্ত যেতে পাথাকা –খাওয়াঃ থাকা খাওয়ার জন্য সীতাকুণ্ড মোটামুটি ভালো ব্যবস্থা আছে।পরামর্শঃ ঝর্নায় যাওয়ার পথে সিড়ি বেয়ে নিচে নামা লাগে তাই ভারী ব্যাগ নিয়ে নামবেন না ,পরে উঠতে কস্ট হবে। প্রয়োজনে উপরে ব্যাগ গুলো রেখে একজনকে পাহারায় রেখে আসুন।সিঁড়ি গুলো বর্ষায় পিচ্ছিল হয়ে যায় তাই সাবধানে সময় নিয়ে ধীরে ধীরে নামবেন।কারও সাথে কম্পিটিশন করতে যাবেন না। জীবনের মূল্য বেশি। ভালো গ্রিপ ওলা স্যন্ডেল পড়ে নিবেন।ঝর্নায় যাওয়ার সময় পথে ঘন বনরের মত পড়বে যা জোঁকের আড্ডাখানা। তাই সাথে লবন রাখুন।পাহাড়ে উঠার সময় অবশ্যই পর্যাপ্ত পানি এবং স্যালাইন নিয়ে উঠবেন।


রবা

Comment

Top